সাবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি?

 সাবু (টেপিওকা) এবং সাগু প্রায় একই রকমের খাবার, দুটিই স্টার্চ (কার্বোহাইড্রেট) সমৃদ্ধ। তবে সাবু সাধারণত ক্যাসাভা (টেপিওকা) থেকে তৈরি হয়, যেখানে সাগু তৈরি হয় সাগু গাছ থেকে। সাবুর উপকারিতা ও অপকারিতাগুলোও অনেকটা সাগুর মতোই, তবে কিছু বিশেষ পার্থক্যও আছে।


**সাবু খাওয়ার উপকারিতা:**


1. **শক্তির উৎস:** সাবুতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরকে তাত্ক্ষণিক শক্তি প্রদান করে। ক্লান্তি বা দুর্বলতার সময়ে এটি খাওয়া ভালো।

2. **হজমের সহায়ক:** সাবু সহজেই হজম হয় এবং পেটের জন্য হালকা খাবার হিসেবে পরিচিত। গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যায় উপকারি।

3. **গ্লুটেন মুক্ত:** সাবু গ্লুটেন মুক্ত, তাই যারা গ্লুটেন অ্যালার্জিতে ভুগছেন, তারা এটি নিরাপদে খেতে পারেন।

4. **ওজন বৃদ্ধি:** সাবু উচ্চ ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।

5. **পানিশূন্যতা রোধ:** সাবু শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এটি খাওয়া ভালো।

6. **হাড় ও পেশির জন্য উপকারী:** সাবুতে কিছুটা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি হাড় এবং পেশির গঠনে সহায়ক।


**সাবু খাওয়ার অপকারিতা:**


1. **ওজন বৃদ্ধি:** সাবুতে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।

2. **রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি:** সাবু রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।

3. **ফাইবারের অভাব:** সাবুতে ফাইবারের অভাব থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে নিয়মিত খেলে।

4. **পুষ্টির ঘাটতি:** সাবুতে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট থাকলেও এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করতে পারে।


**পরামর্শ:** নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে সাবু খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত সাবু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস বা ওজনের সমস্যা আছে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন