শরীর থেকে ইউরিক এসিড দূর করারা জন্য ঘরোয়া এবং কার্যকরি উপায় কী কী? এবং এর প্রস্তুত প্রনালী।

 ইউরিক এসিড দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় এবং তাদের প্রস্তুত প্রণালী এখানে উল্লেখ করা হলো:


### ১. লেবুর রস ও বেকিং সোডা

- **উপকরণ**: এক গ্লাস পানি, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

- **প্রস্তুত প্রণালী**: পানিতে লেবুর রস এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি শরীরের ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক হতে পারে।


### ২. আপেলের সিরকা

- **উপকরণ**: ১ গ্লাস পানি, ১ চা চামচ আপেলের সিরকা

- **প্রস্তুত প্রণালী**: পানিতে আপেলের সিরকা মিশিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার খাবার আগে পান করুন। এটি ইউরিক এসিড নির্গত করতে সাহায্য করতে পারে।


### ৩. আদা ও হলুদের চা

- **উপকরণ**: ১ কাপ পানি, ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক টুকরো আদা

- **প্রস্তুত প্রণালী**: পানিতে হলুদ গুঁড়ো এবং আদা দিয়ে ৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এটি ছেঁকে নিয়ে গরম অবস্থায় পান করুন। এটি প্রদাহ কমাতে এবং ইউরিক এসিড নির্গত করতে সহায়ক।


### ৪. তোকমা বা বেসিল বীজের পানীয়

- **উপকরণ**: ১ গ্লাস পানি, ১ চা চামচ তোকমা বীজ

- **প্রস্তুত প্রণালী**: পানিতে তোকমা বীজ ভিজিয়ে রাখুন, তারপর এটি পান করুন। এটি শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড দূর করতে সহায়ক হতে পারে।


### ৫. পানি ও হাইড্রেশন

শরীরের ইউরিক এসিড কমাতে প্রচুর পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে এটি কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে ইউরিক এসিড বের করে দিতে সাহায্য করে।


### ৬. সেলারি (সেলাইরি) বীজ

- **প্রস্তুত প্রণালী**: সেলারি বীজ চা হিসেবে পান করতে পারেন অথবা সেলারি সালাদ বা স্যুপে যোগ করতে পারেন। সেলারি ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক।


### ৭. কম চিনি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার

প্রচুর চিনি এবং প্রোটিন গ্রহণ করলে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়তে পারে, তাই কম শর্করা এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।


এগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন