ভাতের মাড় (rice water) আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা আছে। নিচে কিছু মূল পয়েন্ট তুলে ধরা হলো:
### উপকারিতা:
1. **শক্তির উৎস**: ভাতের মাড়ে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
2. **পানিশূন্যতা রোধ**: ভাতের মাড় শরীরে পানির অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা খনিজ উপাদান ও ইলেকট্রোলাইট পানিশূন্যতা রোধ করতে সহায়ক।
3. **ত্বক ও চুলের যত্ন**: ত্বকের শুষ্কতা কমাতে এবং চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে ভাতের মাড় ব্যবহার করা হয়।
4. **ডায়রিয়া নিরাময়**: ডায়রিয়া হলে ভাতের মাড় পান করলে তা শরীরের পানি শূন্যতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
5. **হজমের উন্নতি**: এতে থাকা কিছু প্রাকৃতিক এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
### অপকারিতা:
1. **ওজন বৃদ্ধি**: ভাতের মাড়ে বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি নিয়মিত ও অতিরিক্ত সেবনে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
2. **ডায়াবেটিসের ঝুঁকি**: যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, তাদের জন্য ভাতের মাড় অতিরিক্ত শর্করা সরবরাহ করতে পারে, যা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
3. **খাদ্য এলার্জি**: কারো কারো ক্ষেত্রে ভাত বা চালের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে ভাতের মাড় খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
4. **অপরিশোধিত পানি**: ভাত সেদ্ধ করার জন্য যদি অপরিশোধিত পানি ব্যবহার করা হয়, তবে ভাতের মাড় সেবন করলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থাকতে পারে।
এগুলো হলো ভাতের মাড়ের কিছু মূল উপকারিতা ও অপকারিতা, তবে এটি নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং কীভাবে তা গ্রহণ করা হয় তার ওপর।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন